বিবাহিত হয়েও ছাত্রলীগের সভাপতি হতে মরিয়া মনিরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর (গ) ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেনা কিন্তু ছাত্রলীগের এই গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন শিয়ালকোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার কারনে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে মনিরুল ইসলাম উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের লিমা খাতুনকে বিয়ে করেছেন। যার কাবিন নামার ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, অর্থের দ্বারা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ম্যানেস করে মনিরুল ইসলাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হতে মরিয়া হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, মনিরুল ইসলাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই সংগঠনের কোন কাজ করেননি। বরং দলের পরিচয় ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডার ও ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে। অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগের এক প্রভারশালী নেতার প্রায় আট কোটি টাকা লোপাট করেন। পরে স্থানীয় ভাবে পরে বিষয়টি নিয়ে দেনদরবার হয়।
এছাড়াও শিয়ালকোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মনিরুল ইসলাম পদে থাকলেও কর্মীদের পাশে তাকে পাওয়া যাইনি। তিনি শুধু তার ব্যবসা বানিজ্য নিয়েই থাকতেন। সংগঠনের বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত তিনি একাই নিতেন। কমিটির আর কারো সাথে কোন প্রকার সমন্বয় করতেন না।
তারা আরো বলেন, ছাত্রলীগের নিয়ম অনুসারে ২৯ বছরের বেশি, বিবাহিত ও ছাত্র না এমন কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। অথচ বিয়ে ও বিয়ের কাগজে দেওয়া জন্ম তারিখ অনুসারে তার বয়স একন ৩২ বছর চলছে। তারপরে কেন নিয়ম ভেঙ্গে তাকেই নেতা বানানোর জন্য জেলা ছাত্রলীগের একটি অংশ কাজ করছে এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। তবে মনিরুল প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না।
এবিয়য়ে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম জানান, একটি পক্ষ আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। এই অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। তরে বয়সের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন সদউত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব খোকা বলেন, মনিরুল ইসলামের বিয়ের বিষয়ে তার কাজি এক ভিডিও বার্তায় বিয়ে পাড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাহলে নিকা রেজিষ্টার নাম্বরটি ভুল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যায়। বয়সের বিষয়ে কাগজপত্র দেখা হবে বলে তিনি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকৈশলী আব্দুল্লাহ বিন আহম্মদ জানান, কমিটি গঠনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিটি গঠনের সময় এ সকল বিষয় ভালোভাবে দেখা হবে।
সুস/এসবাংলা