জেলা প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর বাজারের ইজারাদার মো: মাসুদ প্রামানিকের কাছে চাঁদা না পেয়ে পিটিয়ে জখম করে ৪২হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ মজিবর রহমান নামের কথিত এক সাংবাদিক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কথিত সাংবাদিকসহ ৬জন চাদাঁবাজের বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ইজারাদার মাসুদ প্রামানিক। (মামলা নাম্বার ২৫, তারিখ: ২৯.০৫.২২)।
মামলা সুত্রে ও ইজাদার মো: মাসুদ প্রামানিক জানান, তাড়াশ পৌর এলাকার নিকারী পাড়ার আফজাল হোসেনের ছেলে মজিবর রহমান নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পৌর বাজারের ইজারাদার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদ প্রামানিকের কাছে টোল আদায়ের ভিডিও ধারণ করে নানান ধরনের ভয় দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করে আসছিল। এ নিয়ে গত ২৭ মে উপজেলার সরকারী ইজারাকৃত কাটাগাড়ী হাট ও মেলার টোল আদায় শেষে একই উপজেলার সগুনা হাট থেকে ব্যবসায়ীক পার্টনার ইয়ার আলী, সবুজ আলী কে সঙ্গে নিয়ে ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে দিঘীসগুনা-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের মধ্যে রাস্তায় কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মজিবুর রহমান ও তার সহযোগী নজরুল ইসলাম (৪০), মো. ফজলু (৪৫),মো. নতুন (২২)সহ ৪/৫জন আমাদের পথরোধ করে ২লক্ষ টাকা চাদাঁদাবী করে। এ সময় তাদের দাবীকৃত চাদাঁ দিতে অস্বীকার করায় লোহার পাইপ ও কাঠ দিয়ে বেদমভাবে মারপিট করে আমার কাছে থাকা হাটের টোল আদায়ের ৪২ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসহ প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়া দুটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ওই চাদাঁবাজরা পালিয়ে যায়।
ইজাদার মো: মাসুদ প্রামানিক, ইয়ার আলী, সবুজ আলী জানান, চাদাঁবাজ মজিবর রহমান কখনো পড়াশোনা করেননি। ছোটবেলা থেকেই জেলেদের সঙ্গে বিভিন্ন জলাশয় থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করে। মজিবর রহমান কিছুদিন পুর্বে রাজমিস্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করতো। তারপর গত ২০২১ সালে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ায় রাতের আধারে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করে। কিন্ত হঠাৎ করে এলাকায় ফিরে হয়ে যায় কথিত সাংবাদিক। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও মারধরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তাড়াশ থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলাম নামের এক চাদাবাঁজকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এইচএমএ/এসবাংলা