জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলায় বিগত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সির চশমা প্রতিকে কাজ করার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তৃণমূলের কর্মীদের ভোটে নির্বাচিত নেতাদের বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন আওয়ামীলীগের ক্ষতিসাধন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সির নাম ব্যবহার ও ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অভিপ্রায়ে চলমান যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সি।
এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) লাইফে তিনি দীর্ঘ ২৫ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন।
শনিবার (১৪ মে ) দুপুরে কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সি বলেন, আমি জনগণের অনুরোধকে উপেক্ষা করতে না পেরে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিগত ৫ জানুয়ারী ২০২২ তারিখ ৫ ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে অপরাধ করেছি। এজন্য আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ও আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থানা করছি।
মাতৃসমতুল্য মাননীয় সভানেত্রী অবশ্যই আমার রাজনৈতিক অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ক্ষমা করবেন এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি ব্যক্তি জিয়া মুন্সি ভুল করতে পারি কিন্তু আমার ইউনিয়নের তৃণমুলের আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা তো ভুল করেনি, তারা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা রেখে নৌকার পক্ষেই কাজ করেছেন।
কিন্তু আমার বংশ পরিচিতি ও জনপ্রিয়তার কারণে আমি স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। অথচ যারা জীবন যৌবন উজাড় করে দিয়ে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকার জন্য কাজ করেছেন আজ তাদেরকে আমার চশমা প্রতিকে কাজ করার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তৃণমুলের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও তাদের বাদ দিয়ে পরাজিত প্রার্থীদের দিয়ে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এমনকি ৭নং ওয়ার্ডে ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত সভাপতি নুরুল শেখকে বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া সোহরাব আলীকে সভাপতি করে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর ভুইয়া। তাদের এই মনগড়া ও গঠণতন্ত্র পরিপন্থী সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে দল চরম ক্ষতির মুখে পতিত হচ্ছে অন্যদিকে আমার চশমা প্রতিকের নাম ব্যবহার করে আমার ভাবমুর্তি বিনষ্ট করা হচ্ছে। এসকল বিষয়গুলো উপলব্ধি করে আমি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন ও ফেসবুক লাইফে আসতে বাধ্য হয়েছি।
একইসঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নির্বাচিত নেতাদের বাদ দিয়ে মনগড়া ও গঠণতন্ত্র পরিপন্থীভাবে যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার বাস্তব চিত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রীসহ সিরাজগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেছি।
অবশ্যই তারা দলের বৃহত্তর স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখে তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের বিষয়গুলো বিবেচনা করে তদন্তপুর্বক এর সঠিক সুরাহা করবেন বলে দাবী জানিয়েছে জিয়া মুন্সি।
এআর/এসবাংলা