জেলা প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জ শহরে ৭০ বছরের নয়ানজুলি জলাশয় মাটি ভরাট করে দখলের চেষ্টা করায় বন্ধ করে দিয়েছে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড)।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরের দিকে পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লায় পরিদর্শন শেষে অবৈধ দখল বৃন্ধের নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড মোহাম্মদ রবিন শীষ।
এর আগে, সকাল ১১টার দিকে দখলদারদের হাত থেকে সরকারি খাস জমি (নয়ানজুলি) দখলমুক্ত করার দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয়রা।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. নজমুল হক, রাজনীতিবিদ মির্জা মোস্তফা জামান, মো. রইচ উদ্দিন মিয়াসহ স্থানীয় ৯৫ ব্যক্তি স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ধানবান্ধি বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর থেকে নবদ্বীপ পুল পর্যন্ত প্রবাহিত নয়ানজুলিটি অত্র অঞ্চলের অন্তত ৫০০ বাড়ির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র জলাশয়। যেটি সরাসরি কাঁটাখালি নদীতে গিয়ে মিলেছে। সম্প্রতি কিছু অসাধু ব্যক্তি রাতারাতি ট্রাকে করে মাটি এনে ওই নয়ানজুলি ভরাট করে দখলের অপচেষ্টা করছিলেন। এতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
ডা. নজমুল হক জানান, ওই নয়ানজুলি ভরাট করলে অত্র অঞ্চলের পানি বের হওয়ার রাস্তা পাবে না। ফলে বর্ষা মৌসুমে ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ৭০ বছর ধরে এ নয়ানজুলি দিয়ে এলাকার সব পানি নিষ্কাশিত হয়ে কাঁটাখালিতে গিয়ে পড়ছে। হঠাৎ এটি দখলের পাঁয়তারা করছে একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রবীন শীষ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করার পর নয়ানজুলি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবীন শীর্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে নয়ানজুলি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এআর/এসবাংলা
পাঠক সংখ্যা:
১৩২