জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষক ডাক্তার কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন, মানসিক নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে জানিয়েছে অত্র স্কুলের সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি ব্যানার টানিয়েছে সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রীরা।
এর আগে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের ১৭৯জন শিক্ষার্থী গণ স্বাক্ষরে ডাক্তার কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ঘৃণা ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়া মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ, ৩য় বর্ষ ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ বরাবর শিক্ষক ডাক্তার কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ঘৃণ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেছে।
মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আদনান মালেক বলেন, আমাদের শিক্ষককের বিরুদ্ধে কিছু কুচক্রি মহল মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। স্যার আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদেরকে নিজ সন্তানের মত করে আগলে রাখেন। তিনি একজন সৎ আদর্শবান শিক্ষক। কিছু ছাত্রছাত্রী অন্য মানুষের উস্কানিতে আমাদের প্রাণ প্রিয় স্যারকে অপমান অপদস্ত করার চেষ্টা করছে।
৪র্থ বর্ষের ছাত্র আব্দুল জব্বার, আবু হান্নান, ৩য় বর্ষের ছাত্র নুর মোহাম্মদ, ২য় বর্ষের ছাত্র আহম্মদ উল্যাহ মানসুর, ৩য় বর্ষের মোঃ আলহাজ্ব হোসেন, ১ম বর্ষের নাছরিন বলেন, স্যারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা কোন দিন ঘটেনি। আদৌ এ ধরণের কোন ঘটনা আমাদের ক্লাসে ঘটে নাই। যারা স্যারকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল ও হোস্টেল সুপার ভাইজার ডাক্তার রফিকুল আলম বলেন, “একমাত্র সুশিক্ষাই একটি জাতিকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে পারে।” এই মূল মন্ত্রে বিশ্বাস রেখে আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার প্রয়াসে আমি দীর্ঘদিন যাবত হোস্টেল শিক্ষার্থীদেরকে আমার সন্তানের মত দেখি আসছি। শিক্ষার্থীদেরকে আন্তরিক তত্ত্বাবধানে নিরিবিলি পরিবেশে একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ করে গড়ে তুলতে এ প্রতিষ্ঠান সর্বদা সচেষ্ট।
তিনি আরো বলেন, যুগের সাথে সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষায় হলো আমাদের মূলমন্ত্র। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তন। আর এ লক্ষ্যে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষক এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। আমি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তানের মত করে আগলে রাখি। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানী করছে। সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ডাক্তার রফিকুল আলম আরো বলেন, আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কে বা কারা বিভিন্ন লোকের সাথে যোগাযোগ করেছে। এবং নানা আজেবাজে শব্দ ব্যবহার করেছে। এই কারণে আমি সিরাজগঞ্জ সদর থানায় গত ১০ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে এক সাধারণ ডাইরি করেছি। যাহার ডাইরি নং-৮৬১।