নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে ৪৫ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হামিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বুধবার (৬ এপ্রিল) ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র আমি হাতে পেয়েছি।
এরা হলেন, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয়, সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহব, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, আইন বিষয়ক সম্পাদক বাবু লাল সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক ছালাম খন্দকার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. সিরিয়া বেগম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবুল কাশেম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লিটন সরকারসহ ৪৫ নেতাকর্মী।
এবিষয়ে পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় মোবাইল ফোনে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তিনি নিজের বাহিনী দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে শারীরিক নির্যাতন করিয়েছেন। দুই সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান ও এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে দিনে দুপুরে মারপিট গালিগালাজ করেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতি ছিলেন। সভায় আমরা ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, আমি ভদ্রঘাট ইউনিয়নে কি নিয়ে দ্বন্ধ আমার জানা নেই। এর আগে কোন অভিযোগ পায়নি। তবে ৪৫ জনের পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি।
পাঠক সংখ্যা:
২৪৪