নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জে বেপরোভাবে মটর সাইকেল চালানোর নিয়ে সালিশী বৈঠকে দুই জনকে মারপিট ও এক গৃহবধুকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিউলী বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত (৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার সরকার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মারপিটে ২ জন আহত হয়। বর্তমানে আহতরা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের (৪র্থ তলায়) সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা হলো, সদর উপজেলার সরকার পাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে পিয়াস উদ্দিন সরকার (৪৫), মৃত মহির উদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুল হামিদ (৫৫)। পিয়াস উদ্দিনের মাথায় ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের দুইজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকার পাড়া গ্রামের মঞ্জু সরকারের ছেলে নাদিম সরকার বেপরো ভাবে মটর সাইকেল চালাচ্ছিলো। এসময় একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে পিয়াস উদ্দিনের সাথে কথা কাটাকারী হয়। এবিষয়ে আপোষ মিমাংসার জন্য সরকারপাড়ার জলিল মন্ডলের বাড়িতে শালিস বসে। শালিস চলাকালে দেশীয় অস্ত্র-সজ্জিত হয়ে নাদিম, গোতা শেখ, হোসেন মন্ডল, সাকিল মন্ডল, আব্দুল খালেক, শিপন শেখ, মো. মহর, মামুন, হালিম মন্ডল, আসাদ মন্ডল, আলমগীর, সম্পদ, শাহিনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে অভিযোগকারী শিউলী বেগম বলেন, ৯নং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দেশীও অস্ত্র-সজ্জিত হয়ে পিয়াস ও হামিদের উপরে হামলা করে। এসময় এক গৃহবধুকে শ্লীলতাহানী করে তার গলায় থাকা ১০ আনার একটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় পিয়াসের মাথায় ১০টি সেলাইসহ বিভিন্ন স্থানে ছেলা-ভুলা হয়েছে। বর্তমানে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রকিবুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষে নিয়ে শালিসে বৈঠকের সময় নাদিম গংরা দেশীয় অস্ত্র-সজ্জিত হয়ে হামলা করে পিয়াস ও হামিদকে মারপিট করে।
৯নং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর শেখ জানান, উভয়পক্ষকে মিমাংসা করে না জন্য বলা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।