॥ নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ ॥
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্ট শহিদুল ইসলাম রন্টু ও হাসপাতালের নৈশপ্রহরী গোরাচাঁদকে ঘুষ দাবী করার অভিযোগে স্থানীয় এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধামাইচ গ্রামীণ হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের পোশাক ছেঁড়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
গণ ধোলাইয়ের শিকার হলো, তাড়াশ উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম রন্টু সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ভাটপিয়াড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা হাসপাতালের নৈশপ্রহরী গোরাচাঁদ।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধামাইচ হাট থেকে এস. এম শহিদুল ইসলাম ও গোরাচাঁদকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস এম শহিদুল ইসলাম রন্টু ও হাসপাতালের নৈশপ্রহরী গোরাচাঁদ ধামাইচ হাটে গিয়ে ভেজাল পণ্যের অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা তখন ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তাদের জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে খারাপ ব্যবহার করেন। এ সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদের ধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে মুচলেকা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাদের ছাড়িয়ে নেন।
উপজেলার ধামাইচ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রাশিদুল ইসলাম বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর প্রায়ই হাটবাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবি করেন। মঙ্গলবার বিকেলে ধামাইচ হাটে এসে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেন। আমার দোকানে এসেও তিনি টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা এসে তাদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তাদের আটকে পুলিশে খরব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস. এম শহিদুল ইসলাম রন্টুর বলেন, ভেজাল খাদ্রের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় তারা আমাদের মারপিটের চেষ্টা করে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া শোভন বলেন, আটকের বিষয়টি জানতে পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ সির্ভিস সার্জন রামপদ রায় জানান, ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।