নিজস্ব প্রতিবেদক,সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য উৎপাদিক ক্যাপুলে বিষাক্ত কেমিক্যাল পাওয়ায় ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসা আই) গাজীউল হক।
আসামিরা হলেন, কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক মোছা. রোজিনা বেগম, হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ওষুধ পুস্তুতকারী কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল গণি মন্ডল, (৫৮), সহকারী ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর (৪৫), হেকিম মো. আলামিন (৪০), ম্যানেজার মো. আজিম (৩৫), পরীক্ষক মো. মাসুম (৩৬), মেশিন অপারেটর শিবলী মন্ডল (৩৭), মো. সুমন মন্ডল (৪০),
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর এলাকায় অবস্থিত হামিম ইউনানি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ডায়াবেটিক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইজিক কেয়ার ক্যাপসূল নামে একটি নতুন ওষধ উৎপাদন করেছে। ক্লিনিকাল পরীক্ষা ছাড়াই এসব ওষধের স্যাম্পল কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের নির্দেশে হেকিম আলামিন কর্মচারী নীলাকে দেন এবং বিভিন্ন ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে বিতরণ ও প্রয়োগ করে ফলাফল জানানোর নির্দেশও দেন।
বাদী উৎপাদিত ওষুধ নিয়ে তার স্বামী ডায়াবেটিস রোগী নাজমুল হুদা ও শ্বশুর আসাব আলীকে প্রয়োগ করান। সেবনের কিছু সময় পড়েই তার স্বামী ও শ্বশুর উভয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসকের নিবিড় পরিচর্চায় জ্ঞান ফিরে পান তারা। এখন পর্যন্তও তারা অসুস্থ রয়েছেন। পরীক্ষা করে তাদের শরীরে জীবন বিধ্বংসী ডিএম, এইচটিএন, হারবাল পয়জন শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, এ ঘটনায় নীলা আক্তার বাদী হয়ে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ ঊর্ধ্বতন ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৩জুন) থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর বর্তমানে কোম্পানিটি বন্ধ রেখে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।