॥ নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ ॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ সাবেক সফল চেয়ারম্যান আকমাল হোসেন কে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নবাসী।
গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের উল্লাপাড়া বাজার এলাকার আবুল হোসেন, সামাদ হোসেন, রিক্সা চালক কালু মিয়া, সালাম মিয়াসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন জনসাধারণ বলেন, আকমাল হোসেন আওয়ামীলীগের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে সুসংগঠিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আগামী ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নৌকার হাল ধরতে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আশা করছি, যদি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নেতা সৎ নিষ্ঠাবাদ জনদরদী আকমাল হোসেনকে দেয় তাহলে উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের আরো উন্নয়ন হবে ইন্নাশাআল্লাহ।
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকমাল হোসেন জানান, আগামী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তার একজন ক্ষুদ্র ও ত্যাগী কর্মী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন কে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর আর্শের রাজনীতি করায় বারবার জামায়াত বিএনপির মূল টার্গেট ছিলাম আমি। আমি সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে সুসংগঠিত করায় তৎকালীন ২০১৪ সালে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা নৃশংস হামলা চালিয়েছিল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যক্ররের রাতে শ্রীকোলা মহাসড়কের পাশে নির্মিত তেলের মিল, বিল্ডিং ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। একইসাথে আমার বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ চালায় জামাত বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এতে আমার প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতো কিছু হলেও কখনো আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশ থেকে বিৎচূত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সদর ইউনিয়নকে সুসংগঠিত করার লক্ষে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এবং গত মহামারি কোভিড-১৯ এর সময় সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক ও হ্যানিটাইজার বিতরণ করেছি। দ্বিতীয় বারের মত ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যেসকল মানুষ কর্মহীন হয়েছেন তাদের কে বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি এবং বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হাতে হাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি।
আমি দীর্ঘদিন ধরে সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা বলছেন। আমাকে আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়া হলে সদর ইউনিয়ন কে দূর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে দলের মনোনয়ন পাবে এমনটাই আশাবাদী সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও এলাকার জনসাধারণ।