নিজস্ব প্রতিবেদক॥
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর বড়ধুল দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়োগ ব্যাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সুপার মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার (১ মার্চ) সরেজমিনে চর বড়ধুল দাখিল মাদ্রাসায় যাওয়ার পর সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে আবেদনকারী মো. ইউসুফ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমি ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম। নিয়োগের জন্য প্রথম হয়েও নিয়োগবঞ্চিত করা হয়েছে আমাকে। সুপার আলমগীরে সাথে ৬ লক্ষ টাকা বিনিময়ে চাকুরী দেওয়া কথা ছিলো। সেই মোতাবেক আমার নিকট থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু রেজাউল করিম নামের এক প্রার্থীর নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়েছে। পরে আমি জানতে পারলে সুপার আমার ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়।
এদিকে আয়া পদে একই গ্রামের আবেদনকারী সম্পা বলেন, সুপার মো. আলমগীর হোসেনের আমাকে চাকুরী দেওয়া নামে ২ লক্ষ টাকা নেন। পরে অপর প্রার্থী স্বপ্না খাতুন নামের একজনকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়েছে। সুপার আমার টাকা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ঠান্ডুর নিকট ২ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। সম্পা আরো বলেন, নৈশ প্রহরী পরে আমিনুল ইসলাম নামের এক প্রার্থীর নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের টাকা নাই, তাই আমাদের চাকুরী নেই।
এদিকে চর বড়ধুল দাখিল মাদ্রাসায় বিদ্যুৎশাহী সদস্য শরিফ রেজা অভিযোগ বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর ইনকেলাব পত্রিকায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে সেই মোতাবেক সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে ৯জন, নৈশ প্রহরী পদে ৫জন ও আয়া পদে ৪জন প্রার্থী আবেদন করলে খাতা কলমে গ্রন্থাগারিক ৬জন, নৈশ প্রহরী পদে ৩জন ও আয়া পদে ২জন উপস্থিত দেখিয়ে বাকি প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়।
সুপার কৌশলে নিয়োগ পরীক্ষা সিরাজগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাই স্কুলে পছন্দমত ডিজির প্রতিনিধি দিয়ে শেষ করে। এই আমরা বিষয়টি জানিনা। রেজাল্ট প্রকাশ না করে নিজের পছন্দ মত প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র ও যোগদান করায় সুপার।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সুপার ৩টি প্রার্থীর নিকট থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়েছে সুপার আলমগীর হোসেন।
এ ব্যাপার চর বড়ধুল দাখিল মাদ্রাসায় সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সকল নিয়োগ পরীক্ষা সরকারী নিয়মনীতি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যারা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টাকা লেনদের বিষয়টি সঠিক নয়।