নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশুকে ৪৮ ঘন্টা পার হলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে নিখোঁজ শিশু মাহিমের পিতা চয়ন তালুকদার।
এদিকে এই ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অপর দিকে গত (২৩ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার শিশুটি চুরি হওয়ার পর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। অনেকেই নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। যারা এখনও আছেন, তারাও শিশুকে চোখের আড়াল করছেন না।
হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরা দুই নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু হিজাবে মুখ ঢাকা থাকা এবং সিসিটিভির ফুটেজ স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। মাহিন নামের শিশুটি চুরি হওয়ার পরই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় আনা হয় পরিবর্তন। তবে আতঙ্ক কাটেনি ওয়ার্ডে অবস্থানকারীদের।
এই তদন্ত কমিটির প্রধান ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, সবার আগে শিশুটিকে উদ্ধার করতে হবে। পরে কার গাফিলতি আছে তা যাচাই করা যাবে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, শিশু ওয়ার্ডের অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবেই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বিপিএম, পিপিএম জানান, শিশু চুরি হওয়ার তিন দিন পার হলেও তারা তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শিশু উদ্ধারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য: উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনয়নের ভাদালিয়া গ্রামের চয়ন ইসলাম ও মুঞ্জুরা বেগম ২৩ দিনের শিশু ছেলেকে নিয়ে ঠান্ডা জনিত কারণে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করেন। গত (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শিশুর কাপড় ধোবার জন্য বাহিরে গেলে। পরে এসে দেখে ছেলে মাহিম নেই। অনেক খোঁজা খুজির করার পরেও পাওয়া যায়নি শিশুটিকে।
এ.রা/এসবাংলা