নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জ পৌরসভাকে উত্তরবঙ্গের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ বলেছেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, যানজটমুক্ত শহর গড়াই হবে আমার মূল লক্ষ্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকার টিকিট দেন তাহলে আমি পৌরবাসীর ভালবাসা নিয়ে বিজয়ী হবোই ইনশাল্লাহ। মেয়র পদে আমাকে নির্বাচিত করলে পৌরবাসীর কাঙ্খিত সেবাদানের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরুপে নিয়োজিত করবো।
শনিবার (১০ অক্টোবর) এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত কাউন্সিলর, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ।
সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এ শহরের ফুটপাথে বালুর স্তুপ, রাস্তায় রাস্তায় খোয়া, ইট ও পাথর। মানুষের চলাচলের পথে পথে বাঁধা ও দুর্ভোগ রয়েছে। ফুটপাথ হকারদের দখলে। এসব সমস্যা সমাধান করা হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। হকার্সদের পূর্ণবাসিত করা হবে। তাদের জন্য জায়গা করে দেয়া হবে। শহরে যানবাহন চললেও কখনোই যানজট হতে দেয়া হবে না। ট্রাফিক পুলিশের সাথে বসে যানজট নিরসনে সব রকমের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেলিম আহম্মেদ বলেন, পৌরসভা জনগণের। জনগণ ভাল থাকলেই পৌরসভা ভাল থাকবে। পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য একটি পার্ক স্থাপন, কাটাখালি নদীকে হাতির ঝিলের মতো করে গড়ে তোলা হবে। শহরের সকল ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার ও ধুলোবালিমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সেলিম আহম্মেদ শহরের সয়াগোবিন্দ মহল্লায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সস্তান। তাঁর বাবা শেখ কেরামত আলী চার বার সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর চাচা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া সেলিম আহম্মেদ ছাত্রাবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ৯০ এর এরাশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এরপর কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে তিনি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সামাজিকভাবেও এলাকায় প্রতিষ্ঠিত। সয়াগোবিন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছাড়াও মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সাথেও যুক্ত রয়েছেন। পাশাপামি জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সাপোর্ট কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন।