নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কওমী জুট মিলস্ হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শ্রী প্রদীপ কুমার (৫৫) ও মোঃ মাসুদ শিকদার (৫০) নামের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র চালিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মোঃ কবির উদ্দিন শেখ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত অত্র বিদ্যালয়ে কমিশনের ভিত্তিত্বে প্রশ্নপত্র, সিলেবাস, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর সহায়ক পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ দেওয়ার কথা বলে গত ১৪ জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে অভিযোগকারীর নিকট হতে ৬৫ হাজার টাকা নেন শিÿক শ্রী প্রদীপ কুমার ও মোঃ মাসুদ শিকদার।
অভিযোগে আরোও বলা হয়, প্রকাশনি পুথি নিলয়ের ৪০০ কপি বই স্কুল ও কোচিং সেন্টারে চালিয়ে দিবে বলে ছাপানোর অর্ডার দেওয়া হয়। যাহার মূল্য ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। পর্ববর্তীতে ওই শিক্ষক এই ছাপানো বইগুলো নিতে অস্বীকার করছে। ফলে ভুক্তভোগীর আগের দেওয়া ৬৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে নানা তালবাহানা করে ও সময় কালক্ষপন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
পুথি নিলয় প্রকাশনির সরবরাহকারী মোঃ কবির শেখ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সহকারী শিক্ষক শ্রী প্রদীপ কুমার ও মোঃ মাসুদ শিকদারকে কমিশন দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বইয়ের অর্ডার দিয়েছে। পরে আমাকে সিলেবাস ও সম-সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চালিয়ে দিবে বলে ৬৫ হাজার টাকা নেয় তারা। পরবর্তীতে টাকা চাইলে নানা তালবাহানা শুরু করে। উপায় না পেয়ে সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক শ্রী প্রদীপ কুমার বলেন, আমাদের এতো টাকা দেয়নি। পিকনিকের জন্য ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। তিনি আরোও বলেন, এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মহলে দরবার শালিসও হয়েছে।
সাক্ষাৎকারের জন্য শিক্ষক মোঃ মাসুদ শিকদারকে বার বার ০১৭১৬-৪১৮০০০ নাম্বারে ফোন দিলেও সে রিসিভ করেনি।
কওমী জুট মিলস্ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষক শ্রী প্রদীপ কুমার ও মোঃ মাসুদ শিকদার যদি স্কুলের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা পয়সার লেনদেন করে থাকে তাহলে তারা অবশ্যই দোষি। এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থা নিবে।
কওমী জুট মিলস্ হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা: জহুরুল হক রাজা বলেন, এদের দুই জনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রমান না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না কমিটি। অতএব এ ঘটনাটির সাথে স্কুল জড়িত না। এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক দয়াল ব্যানার্জি জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।