নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ ও সহকারী শিক্ষিকা রুমিনা সুলতানার অনৈতিক কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসীসহ অভিভাবকবৃন্দ। এই অপ্রীতিকর ঘটনায় ফুসে উঠেছে রঘুনাথপুর এলাকা। ঘৃনার জন্ম নিয়েছে কিশোর যুবকসহ নানা পেশার মানুষের মাঝে। এতে যেমন স্কুলের মান নষ্ট হয়েছে ঠিক তেমনি মান ক্ষুন্ন হয়েছে শিক্ষকদের। পাশা পাশি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তীর্ব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি ও পিটিএ কমিটি এবং গ্রামবাসী অতি স্বত্বর এ দুই শিক্ষককে শাস্তিমুলক বদলী করে ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করেছে।
আবেদনে এসএমসি, পিটিএ এবং গ্রামবাসী উল্লেখ করেন দীর্ঘদিন যাবত এ দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে অনৈতিক কার্যকলাপ করে থাকেন। ক্লাশরুমে গিয়ে দুজনে বসে গল্প করে, দুপরের খাবার একে অপরকে খাইয়ে দেন এবং তাদের দৃষ্টিকুট কার্য্যকলাপ এলাকাবাসী চোখে পড়লে প্রধান শিক্ষক বরাবর এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও এ বিষয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ১৩-০৭-২০২০ইং তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর এলাকাবাসী এবং স্কুলের এস এম সি ও পিটিএ কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত শিক্ষকদ্বয়কে তাদের নৈতিকতা বির্বজিত কার্যাকলাপের জন্য আগামী ৩ কার্য্যদিবস সময় দিয়ে গত ১৬-০৭-২০২০ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান-–উল- করিম বলেন, স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় স্কুলে যাতায়াত তাদের আচরণ কার্যকলাপ সম্পুর্ণই অনৈতিক এবং অসামাজিক। এ ব্যাপারে শুধু আমিই নই গ্রামবাসীও তাদের এই অনৈতিক কাজের বিষয়ে জানে।
অভিযোগকারীরা আরো বলেন, ঐ স্কুলের নৈশ প্রহরী মোঃ রবিউল আওয়াল এর সহযোগিতায় স্কুল বন্ধ থাকলে তারা স্কুলে এসে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে।