নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জে দলীয় কোন্দলের কারনে প্রতিপক্ষের মারপিটে নিহত ছাত্রলীগ নেতা
এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আজ
বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলাটি ডিবি পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, জেলহাজতে থাকা ৩ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড
মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরা হলেন, সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা
ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয় (২৩) ও জাহিদুল ইসলাম (২১) এবং
দিয়ারধানগড়ার সাগর (২০)।
মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস.আই বদরুদ্দোজা
জিমেল জানান, জেলহাজতে থাকা ৩ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের
রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আবেদনের শুনানী শেষে সিরাজগঞ্জ
অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ২দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন জাতীয় নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ
আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় জেলা
ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারী হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ
শাখার সভাপতি এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। ৯ দিন
লাইভ সাপোর্টে থাকার পর ৫ জুলাই সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বড় ভাই
রুবেল বাদী হয়ে ২৭ জুন জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের ৫
নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ্য, অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা
দায়ের করেন। সদর থানার এস.আই আনিছুর রহমান মামলাটির তদন্ত করেন। মামলা
হওয়ার পরই ৪ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ৩জন জেলহাজতে, আল আমিন
নামে একজন জামিনে এবং প্রধান আসামী শিহাব আহমেদ জিহাদ পলাতক রয়েছে। ঘটনার
পর ২৮ জুন মামলার আসামী জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন ও
শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ অবস্থায় ৭জুন নিহত ছাত্রনেতা এনামুল হক বিজয় স্মরণে মিলাদ মাহফিলকে
কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের
অন্তত: ৪০জন নেতাকর্মী আহত হন। টানা দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে
উভয়গ্রæপে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যুক্ত হন। এসব ঘটনায়
পাল্টাপাল্টি আরও ৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমানে ২৫জন নেতাকর্মী
জেলহাজতে রয়েছেন। এই সংঘর্ষের কারনে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়ায়
আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপে ৮ জুলাই থেকে জেলা আওয়ামীলীগ
কার্যালয় তালা বন্ধ এবং আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দলীয়
কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।