নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ শুধু স্বাস্থ্য খাতেই লুটপাটের ফাঁদ পাতেননি, সরকারের আরো কয়েকটি দপ্তরেও ছিল তার প্রভাব- প্রতিপত্তি।
নগদ অর্থসহ নানা ধরনের উপঢৌকনের বিনিময়ে বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে নিয়মিত অংশগ্রহণের সুযোগে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তথা সরকারের ‘প্রভাবশালী’ পরিচয়ে নৌপরিবহন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ অনেক দপ্তরেই বিস্তৃত ছিল সাহেদের হাত।
রিজেন্ট গ্রুপের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, সাহেদ আত্রাই নদ ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ করেছেন। কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপ ও কক্সবাজারে সাইক্লোন শেল্টার এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজেও তিনি যুক্ত রয়েছেন।
প্রভাব খাটিয়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীতেও প্রতারণা করেছেন সাহেদ। গোবিন্দাসী এলাকার মাটি খনন ব্যবসায়ী অমলেশ ঘোষের সঙ্গে গত বছরের শুরুর দিকে চুক্তি করে রিজেন্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘রিজেন্ট কেসিএ’। নাটোর এলাকায় নদী খননের জন্য এই চুক্তি হয়। ২১ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে রিজেন্টের কাছে। টাকা চাইতে গেলে তাকে হত্যার হুমকি দেন সাহেদ।
হিসাবের বিপরীতে টাকা জমা থাকলেও ব্যাংকে চেক নিয়ে গেলে সাহেদের অনুমতি ছাড়া মিলত না টাকা। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা থানায় জিডি করেন তিনি। পরে সাহেদের হয়ে পুলিশই জিডি তুলে নিতে তাকে চাপ দেন। এ বিষয়ে উত্তরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ পালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।