নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারপিট ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছে দুইজন। গত ৩০জুন রাতে শহরের সয়াধানগড়া মোল্লাবাড়ী মাদ্রাসার সামনে দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটায় মো. রাজু মোল্লা গংরা।
আহতরা হলেন, সয়াধানগড়া উত্তরপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান মোল্লার ছেলে রাশেদ মোল্লা (২৫) ও মিলন মোল্লা (৩৫)। গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাশেদ মোল্লাকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মৃত পিয়ার মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা , শাহিন মোল্লার ছেলে ব্যাঞ্চন ও সুজন, আরিফ মোল্লার ছেলে আসিফ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ৩০জুন রাতে অতর্কিত ভাবে সয়াধানগড়া মোল্লাবাড়ী মাদ্রাসার সামনে এলোপাথারী মারপিট ও ইন্ডিকেটর দিয়ে ফ্যাস দিয়ে গুরুত্বর কাটা ও জখম করে। এবং সুজন হত্যার উদ্দেশ্যে রাশেদকে ঘারে ও পিঠে সজোরে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ব্যাঞ্চন ও সুজনের ইন্ডিকেটরের আঘাতে রাশেদের ঘার ও পিঠে ২৫/৩০টা সেলাই পরে।
এ বিষয়ে মিলন মোল্লা বলেন, ৩০জুন রাতে আমাকে বাড়ী থেকে ডেকে বের করে ওই সন্ত্রাসীরা সয়াধানগড়া মোল্লাবাড়ী মাদ্রাসার সামনে আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারতে শুরু করে। পরে আমার ছোট ভাই রাশেদ আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও ইন্ডিকেটর দিয়ে ঘার ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাস দেয় ওই ব্যক্তিরা। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
গুরুত্বর আহত রাশেদ মোল্লা জানান, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার বড় ভাইকে মারপিট করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ভাইকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাকে ইন্ডিকেটর দিয়ে ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাস দেন।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোকাররম হোসেন জানান, সয়াধানগাড়া উত্তরপাড়া গ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মিলন মোল্লা বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।