চৌহালী সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের চৌহালীর যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির বাদাম ডুবে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা পাকা, আধাপাকা বাদাম তুলতে বাধ্য হয়েছে। এতে বাদাম চাষীদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়। রোববার সকালে যমুনা পশ্চিম তীর এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নৌকায় করে নদীর পাড়ে রাখা হ”েছ। সেখানে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়া”েছন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা ¯’ানে বাদাম রোদে শুকা”েছ। এতে বাদাম চাষীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে গেছে। এ ব্যাপারে ঘুশুরিয়ার বাদাম চাষী কামরুল ইসলাম ও বাশি মিয়া জানান, যমুনা চরের বেলে মাটিতে বাদামের চাষ ভাল হওয়ায় এ বছর কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুকে পড়েছে। তারা প্রায় ৪২ বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছে। ফলনও ভাল হয়েছিল। তবে যমুনা নদীতে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় ১৬ বিঘা জমির ৮০ মন বাদাম নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হবে। চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিস ও বাদাম চাষীরা জানান, চৌহালী যমুনা চরাঞ্চল সহ ৭টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়। এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারেও ভাল দাম পা”েছ কৃষক। তবে প্রথম দিকে বাদামের অনেক জমিতে পানি উঠেছিল। এতে বেশ কিছু জমির বাদাম তলিয়ে যাওয়ায় চাষীদের কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের যমুনা চরের কৃষক শামছুল মোল্লা, ইকবাল হোসেন ও ইমরান হোসেন জানান, যমুনা চরের দক্ষিণাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হলেও অসময়ে পানি বৃদ্ধির ফলে চরের প্রায় ৩৮ জন কৃষকের বাদাম ক্ষেত তলিয়ে যায়। ¯’ানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাহহার সিদ্দিকী জানান, যমুনা চরের নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক বিঘার জমির বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্য ইউনিয়ন থেকে বাঘুটিয়াতে বাদামের ফলন অনেক ভাল হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, যমুনা চরাঞ্চলে এ বছর বাদামের বাম্পার ফল হয়েছে। যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের নদীতীরবর্তী নিচু এলাকার সামন্য কিছু বাদামের জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে।