নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমগুলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের (৭২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় ২য় জানাজা শেষে তাকে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়তি করা হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় রাজধানীর সোবহানবাগ জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা হয়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা ও অন্যান্যরা মোহাম্মদ নাসিমকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
জানাজা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জানাজায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে জানাজার আয়োজন করা হয়। মোহাম্মদ নাসিমের জানাজায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ অনেকেই অংশ নেন।
রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এরপর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। ৫ জুন ভোররাতে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা: কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দয়ো হচ্ছিল তাকে। এরইমধ্যে শনিবার সকাল ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম এমপি। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তার বাবা এম মনসুর আলীর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম একাধারে বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমগুলীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র ছিলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন নাসিম। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।