নিজস্ব প্রতিবেদক :
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো), সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের প্রি-পেইড ইউনিটে হয়রানী/দালালদের দৌড়াত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে গ্রাহক পেটানোর ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য/গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফারুক বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় মামলা করেন।
তিনি ভিকটিম পৌর আওয়ামীলীগ নেতা শাহিন আহম্মেদ ভোলার বড়। প্রি-পেইড মিটার ইউনিটে প্রেষনায় থাকা সাহায্যাকারী-কাম-সিস্টেম সুপার ভাইজার শফিকুজ্জামান নোমান ও তার ভাই মেজবাহসহ স্থানীয় দালালচক্রের ৭ জনকে আসামী হয়েছে।
ঘটনার পর সবাই সটকে পড়ায় এখনও তারা ধরাছোয়ার বাইরে। সদর থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেল জানান, মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। নেসকোর সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ও আবাসিক প্রকৌশলী গোবিন্দ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তানহ বেশ খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ জাকিউল ইসলাম মোবাইলে বলেন, ‘গ্রাহক হয়রানী/মারপীটের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত: করোনায় প্রিপেইড মিটার ভেন্ডিং ষ্টেশনের বুথগুলোর বেশীরভাগই বিকল হবার সুযোগে সিস্টেম সুপারভাইজার নোমানসহ তার ছাপোষা দালালচক্র উৎকোচ নিতে প্রায়ই গ্রাহকদের কৌশলে প্যাচে ফেলে নানা ধরনের হয়রানী শুরু করেন। সোমবার দুপুরে স্থানীয় ক’জন গ্রাহক নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট এসব বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ দেন। সুপারভাইজারনোমানসহ ক’জন অসাধু কর্মচারী ও দালাল এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলীর সামনে গ্রাহকের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পৌর আওয়ামীলীগ নেতা শাহিন আহম্মেদ ভোলা তখন এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। এরই জের ধরে তাকে অফিসের গেটের সামনে পরে ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার আগেই সিস্টেম সুপরভাইজার নোমানসহ অন্যান্য আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যান। গুরতর আহত আওয়ামীলীগ নেতা ভোলাকে প্রথমে আভিসিনা ও পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।