সলঙ্গা সংবাদাতা:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গার ঘনবসতিপূর্ণ ঘুড়কা গ্রামে গড়ে ওঠা সেমি অটো চাউল মিল মারাত্মক পরিবেশদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে ঘুড়কা গ্রামের আব্দুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তি ধানের কুঁড়ার মিল স্থাপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লোকালয়ে ধানের কুঁড়ার মিল স্থাপন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে একই গ্রামের চন্দ্র শেখর দাশ রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সলঙ্গা থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এদিকে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল না পাওয়ায় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সলঙ্গা থানার ঘুড়কা গ্রামে গত কয়েক বছর ধরে লোকালয়ে অটো চাউল মিল চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এতে চালেক কুঁড়ায় স্থানীয়রা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন। নতুন করে আবার যদি চাউলের কুঁড়ার মিল চালু করে তাহলে চাউলের কুঁড়ার জন্য ঘর বাড়িতে বসবাস করা যাবে না । শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সেই সাথে উড়ন্ত চালের কুঁড়ার মিল স্থাপন হলে বসবাসের অনুপযোগি হয়ে যাবে এলাকা। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করা এমন একটি মিল বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী সলঙ্গা থানা, রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন- পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছেন না।
লিখিত অভিযোগকারী চন্দ্র শেখর দাশ বলেন, আমার বাড়ির পাশে শাপলা সেমি অটো চাউল মিল স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এতেই বাড়িতে চাউলের কুঁড়ায় অতিষ্ট হয়ে রয়েছি। এরই মধ্যে আবারও লোকালয়ে অবৈধভাবে আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলেরা চাউলের কুঁড়ার মিল স্থাপন করছে। আমরা লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছি না । উর্ধ্যতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার সেমি অটো চাউল মিলের কুঁড়া অন্যের বাড়িতে যাচ্ছিল কয়েক জন অভিযোগ করলে তা রুমের ভিতরে প্রটেকশন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি কোন ধানের চাউলের কুঁড়ার মিল করছি না। আমি সাধারণ ধান ভাঙ্গানেরা মিল করছি মাত্র।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক সবুজ রানা বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে মিলের ভিতরে প্রটেকশন দিয়ে বন্ধ দিয়েছে। এর পরেও যদি ধানের কুঁড়ায় মানুষের সমস্যা হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।