নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখন নতুন পদ্ধতিতে এলাকা ভিত্তিক শতভাগ লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। আগামীকাল রবিবার থেকে রাজধানী ঢাকায় এই লকডাউন শুরু হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানে লকডাউন কার্যকর হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যাপারে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে রাজধানীর যেসব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, সেসব এলাকা কালকের মধ্যেই লকডাউন করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্র জানায়, হটস্পট বা ক্লাস্টার এরিয়া বিবেচনায় শুরুতে পাড়া, মহল্লা বা ওয়ার্ড এলাকা লকডাউন করা হবে। শুরুতে সীমিত পরিসরে ঢাকার মধ্যেই লকডাউন হবে। কারণ ঢাকাতেই কোভিড-১৯ এর রোগী বেশি। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্যান্য জেলা শহরেও লকডাউন হবে।
মহামারীর বিস্তার রোধে দুই মাসের বেশি সময় সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যুর হারের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন হিসাবে দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে করণীয় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, আমরা আইসিটি বিভাগের সহায়তায় কোন কোন এলাকা লকডাউন করবো, তার ম্যাপিং শুরু করেছি। এতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যোগ দিয়েছেন। পুরো কাজটি শেষ হয়নি। শেষ হলেই আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করছি।
প্রথম দফায় সরকার রাজধানী ঢাকাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ঢাকার যে যে এলাকায় বেশি সংক্রমণ ঘটেছে এবং বেশি রোগী আক্রান্ত সেসব এলাকা চিহ্নিত করার কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞদের অভিমতের ভিত্তিতে ওই এলাকাগুলো লকডাউন করে দেওয়া হবে। এরপর গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে সেসব এলাকা একই পদ্ধতিতে লকডাউন করা হবে।
এবারের লকডাউনে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। লকডাউন করা ‘রেড জোন’ এর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কাউকেই ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।