নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর ও সোনাতনী ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি ছাড়াও শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন কবলিত মানুষগুলো বাঁধের পাশে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুম আসার আগেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনার তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ী, বাঐখোলা, কুটি, পাকড়তলা গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও সোনাতনী ও কৈজুরি ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সোনাতনী প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিউনিটি ক্লিনিকসহ প্রায় ১০টি গ্রামের কয়েকশ বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
০৪ জুন বিকেলে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ ও সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, অসময়ে যমুনার ভাঙনে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। ভয়াবহ ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভাঙন কবলিতদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ শামসুজ্জোহা বলেন, ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাউবো কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সু/এসজে